Government is going to quit about 10 thousands of primary school teacher. There are many student who want to be a primary school teacher after completing their academic education. This is a massive bad news for them also. It is happening for new condition that attributed by the government. As this is going to be an inhumanic step, government should reconsider its decesion bacause, lots of families are related to this step.
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পূর্বচর দপদপিয়া আমেনা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলেনা ইয়াসমিন। তার চাকরির বয়স ২৬ বছর। ৯ বছর পর তিনি অবসরে যাবেন। নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস করেই তিনি চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। ২০১৩ সালে দেশের ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে তার বিদ্যালয়টিও জাতীয়করণ হয়। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শর্ত জুড়ে দিয়েছিল, মাধ্যমিক পাস শিক্ষকদের তিন বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করতে হবে। শর্ত পূরণ করতে হেলেনা ইয়াসমিন এবং নলছিটি উপজেলার আরও ২৭ জন শিক্ষক বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তবে তাদের ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। আগামী মার্চে ফল প্রকাশ হতে পারে। এদিকে, মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া শিক্ষকদের উচ্চ মাধ্যামিক পাস করার ওই সময়সীমা গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের বেতন। তারা এখন চাকরি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন। সারাদেশে এরকম আতঙ্কে আছেন ১০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক। হেলেনা ইয়াসমিন জানান, তিনিসহ উপজেলার মাধ্যমিক পাস ২৭ শিক্ষকের জানুয়ারি মাসের বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল। অথচ হেলেনা ইয়াসমিনসহ ওই শিক্ষকরা ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বাউবির একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে গত ডিসেম্বরে দ্বাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফল প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন। নলছিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল সমকালকে বলেন, ২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। তাই তিনি আইন অনুযায়ী উপজেলার ২৭ জন শিক্ষকের বেতন স্থগিত করেছেন। মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে সময়সীমা না বাড়ালে ওই শিক্ষকরা আর চাকরি ফিরে পাবেন না। তবে চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য তাদের করা আবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সারাদেশের ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ সহস্রাধিক শিক্ষকের বেতন জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে এ রকম অন্য শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা দাবি করছেন, জারি করা প্রজ্ঞাপনে আইনের ফাঁকফোকর আছে। এ ছাড়া বাউবির সেশনজটের কারণে চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে এ সংকটের মুখে পড়েছেন। বিলুপ্ত হওয়া বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি (বর্তমানে শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব) মুনছুর আলী জানান, তার নেতৃত্বে কয়েক বছর আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি সারাদেশের ২৬ হাজার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তখন সারাদেশে ১৬ হাজার শিক্ষক ছিলেন মাধ্যমিক পাস। ২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তিন বছরের মধ্যে ওই শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করতে ব্যর্থ হলে তাদের চাকরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবসান হবে এবং তারা শুধু নির্ধারিত হারে গ্র্যাচুইটি পাবেন। প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা দেখানো হয়েছে ১০ মাস আগে, অর্থাৎ ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি। সে হিসাবে শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার জন্য সময় পেয়েছেন ২ বছর ৪ মাস, অথচ কোর্সটিই দুই বছরের। শিক্ষক নেতা মুনছুর আলী বলেন, সেপ্টেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারি করায় বাউবির ওই বছরের শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষকরা ভর্তি হতে পারেননি। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে তারা গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন। এখন ফলের অপেক্ষায়। এমন অবস্থায় গত ৩১ ডিসেম্বর ৩ বছর সময় পূর্ণ হয়েছে। কক্সবাজার, রংপুর, নীলফামারী, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হওয়ার কথা তিনি জানতে পেরেছেন। গত আড়াই বছরে অনেক শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় সারাদেশে মাধ্যমিক পাস শিক্ষক ১০ হাজার হতে পারে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকেও সভা করা হয়েছে। সময় না বাড়ালে তারা আইনি লড়াইয়ে যাবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মাহবুব এলাহী সমকালকে বলেন, ২০১৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মাধ্যমিক পাস শিক্ষকদের চাকরি গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবসান হয়েছে। ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষক তার দপ্তরে আবেদন করেছেন। অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা আসছে না। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে এ সমস্যার বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে আসেনি। যদি শিক্ষকরা আবেদন করেন, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তাদের নজরে তা আনবেন। এর পরই তারা এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চাইবেন। তিনি বলেন, যেহেতু সেশনজটের কারণ শিক্ষকরা নন, তাই তাদের বিষয়টি নিশ্চয়ই সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।
0 comments: