ভয়ংকর তথ্য: যারা রাতে ট্রেন জার্নি করেন তাদের জানা দরকার
যারা রাতে ট্রেন জার্নি করেন
তাদের জন্যে এই তথ্যটি খুবই
জরুরী। পড়ুন এবং শেয়ার করুন!
যমুনা টিভির ক্রাইম সিন নামক
অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী
প্রতিবেদন প্রচার করে ঢাকা
চিটাগাং ট্রেন লাইন নিয়ে। গত
কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু
স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া
গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়
আখাউড়া ভৈরব কিশোরগঞ্জ
কসবা বি-বাড়িয়া হয়ে নরসিংদী
পর্যন্ত।
পুলিশ এই লাশগুলা বেশিরভাগ
অজ্ঞাতপরিচয় আত্নহত্যা হিসেবে
রেকর্ড করে।তারপর মর্গ হয়ে
মাটিচাপা। হিন্দু মুসলিম ব্যাপার
নাই, সব মাটিচাপা। ডোম
মৃতব্যাক্তির জামাকাপড় রেলওয়ে
ডোমঘরের সামনে ঝুলায়ে রাখে।
যদি বছর দুয়েকের ভিতর মা বাবা
এসে জামাকাপড় দেখে সনাক্ত
করতে পারে তাইলে কবর দেখিয়ে
দেওয়া যাবে জামাকাপড় রোদে
শুকায়ে বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা
সুরত আস্ত থাকেনা।
এই লাশ গুলা বেশিরভাগই মার্ডার
কেস। দশ বিশ পাঁচশ টাকা, পকেটে
থাকা মোবাইল ফোন, এগুলা
ছিনতাই করার জন্য মার্ডারগুলা
করা হয়। বিশ টাকার জন্যও তারা
মানুষ খুন করছে।
ছিনতাইয়ের নিয়মটা হচ্ছে ট্রেনের
দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মত
থাকে, দুই পাশে দরজা, বাথরুম।
রাতের ট্রেনে এসব যায়গায়
সুবিধামত লোক পেলে
ছিনতাইকারী চক্রের দুইজন পেছন
থেকে আক্রমণ করে।
আক্রমণের নিয়ম হচ্ছে গামছাকে
পেঁচিয়ে চিকন করা হয় প্রথমে।
তারপর দুই মাথা দুইজন ধরে যাকে
আক্রমণ করা হবে, তার গলায় পেছন
থেকে এক প্যাঁচ দিয়ে দুপাশ থেকে
হেছকা টান। ১৫ সেকেন্ডের ভিতরই
ঐলোক মারা যাবে। না মরলেও
তার জীবন ঐখানেই শেষ।
এরপর তার পকেট থেকে যা
নেওয়ার নিয়ে পাশের দরজা দিয়ে
ফেলে দিবে।রাতের ট্রেনে সবাই
ঘুমায়। তাছাড়া ট্রেনের আওয়াজ
থাকে। কেউ কিচ্ছু টের পাবেনা।
পুরো কাজটা করতে সময় লাগে
সর্বোচ্চ দেড় মিনিট।
এরা ধরা পড়ে, আবার জামিনে
বের হয় আদালতের কাছে
এভিডেন্স থাকেনা পর্যাপ্ত।
এভিডেন্স না থাকলে বিচারও করা
সম্ভব হয় না।
তাই সতর্ক থাকুন। নিউজটি সকলে
শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
-এসআই ইমরান
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
(পিবিআই), রংপুর!
0 comments: